ঢাকা, ১৫ আগস্ট ২০১৫, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজন করলো বাংলাদেশের ইতিহাসের এক ভিন্ন মাত্রার, অনন্য ও অসাধারণ এক অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এই অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প’ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, যিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অন্যজন খ্যাতনামা আইনজীবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার সদস্য ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। জাতির পিতার অনেক অজানা অধ্যায়ের কথা জানালেন বঙ্গবন্ধুর এই দুজন ঘনিষ্ট সহযোগী।
ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বললেন, জাতির পিতার রাজনৈতিক জীবনের অনেক অজানা গল্প এবং ড. মসিউর রহমান বললেন, প্রশাসক বঙ্গবন্ধুর নানামাত্রিক তথ্য-সম্বলিত চমৎকার ঘটনা। এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানটি সঞ্চলানা করলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও বিশিষ্ট অভিনেতা জনাব আসাদুজ্জামান নূর। কানায় কানায় পূর্ণ দর্শকদের উপস্থিতে জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে সকাল ১১:০০টায়। শেষ হয়েছে দুপুর ১:০০টায়। অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকাল পাঁচটায় ছিল বঙ্গবন্ধুর ১৩১টি দুর্লভ ছবি, তাঁর ওপর রচিত গ্রন্থ, ডাক টিকেট প্রদর্শনী, তাঁর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কর্তৃক মুদ্রিত স্মারক খামের অবমুক্তকরণ এবং গত ১০, ১১ ও ১২ আগস্ট স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু’, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ ও ‘বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও পুরস্কার অর্জনকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী জনাব রাশেদ খান মেনন, সভাতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুনিয়া নিশাত আমিন, স্বাগত ভাষণ দেন জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।