ঢাকা, ১৪.০৯.১৫। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৫ পালন উপলক্ষে বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর গল্প বলা অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকাল ৪.০০ টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রধান মিলনায়তনে দ্বিতীয় পর্বে জাতির পিতার গল্প বলেন বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন রাজনৈতিক সহচর, মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি জনাব এম. আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব আবেদ খান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ভাষণে জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন যারা বঙ্গবন্ধুর সাহচার্য পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে অনেক অশ্রুত বিষয় জানা যাবে এই উদ্দেশ্য নিয়েই বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর গল্প অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সভাপতির ভাষণে জনাব এম.আজিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে এখন অনেক অজানা বিষয় রয়ে গেছে। গল্পবলা অনুষ্ঠান সেই অজানাকে জানতে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানের কথক শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু এমপি বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর শিক্ষা জীবন, রাজনৈতিক জীবন, ঘাত প্রতিঘাত, কারা নির্যাতন, বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু হয়ে বেড়ে ওঠা বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার নানা দিক তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাহচার্যের নানা স্মৃতি উল্লেখ করে জনাব আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান জন্ম হবার পর থেকেই ভাবতেন পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার কথা। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন দানশীল। অসচ্ছল নেতা কর্মীদের তিনি অর্থ সাহায্য করতেন এবং খাতায় সেটি লিপিবদ্ধ করবেন। তিনি আরো বলেন, পিতার অনেকগুলি কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পিতার ন্যায় অসচ্ছল নেতা কর্মীদের অর্থ সাহায্য করেন। সবশেষে জনাব আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের জাতীয় জীবনে পাথেয় করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। তাই বঙ্গবন্ধুকে বেশি করে চর্চা করতে হবে।