ঢাকা, ১৬ নভেম্বর ২০১৫। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সদর দপ্তরে রক্ষিত বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের পথিকৃৎ নভেরা আহমেদের একটি ভাস্কর্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংগৃহীত হলো। ১৬ নভেম্বর ২০১৫ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু নভেরা আহমেদের ভাস্কর্যটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূরের কাছে হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যতম সদস্য ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী জনাব হাশেম খান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ ইকবাল ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু বলেন, আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের পথিকৃৎ নভেরা আহমেদের ভাস্কর্য রীতিকে ‘অ্যাবস্ট্র্যাক্ট এক্সপ্রেশনিজম’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়, আদিম ভারতীয় শিল্পের সরলতার সঙ্গে ইয়োরোপীয় শিল্পকলার মসৃণতার মিশ্রণ তাঁর ভাস্কর্য রীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিষয় নির্বাচন ও টেকনিকের বিবেচনায় তাঁর শিল্পকর্মে বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ব্রিটিশ ভাস্কর হেনরী ম্যুরের প্রভাব লক্ষণীয়। অন্যদিকে, তাঁর নির্মাণকলায় এক অদম্য, দুর্বিনীত, নির্ভীক শিল্পীর চেতনাধারা অমত্মর্লীন হয়ে আছে। এ ভাস্কর্যটি জাদুঘরের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ ভাস্কর্য শিল্পে নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন। তাঁর একটি মূল্যবান ভাস্কর্য জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত হওয়ায় আমি আনন্দিত। শিল্প চর্চা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এই ভাস্কর্যটি বিশেষ ভহমিকা রাখবে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, জাতীয় জাদুঘর দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মূল্যবান নিদর্শন সংগ্রহ করে থাকে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ইতোমধ্যে সংগ্রহ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৪০টি শিল্পকর্ম সংগ্রহ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজে রক্ষিত ভাস্কর্য জাতীয় জাদুঘরে সংগৃহিত হলো।