ঢাকা, ০৫ মার্চ ২০১৬। বাংলাদেশের দালিলীক নিদর্শন ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে ৫ মার্চ ২০১৫ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সভা কক্ষে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল মমিন চৌধুরী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মো. আলতাফ হোসেন, জাতীয় আর্কাইভস ও গ্রন্থাগারের পরিচালক ড. অদুদুল বারী চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, ড. লুভা নাহিদ চৌধুরী, ইউনেস্কো বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির সচিব মনজুরুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান এনডিসি, অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক, রাজশাহী বরেন্দ্র রিচার্স মিউজিয়ামের উপপ্রধান সংরক্ষণ কর্মকর্তা জনাব আব্দুল কুদ্দুছ। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি জনাব এম. আজিজুর রহমান গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কর্মকর্তাবৃন্দ এ গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে ইউনেস্কোর মেমোরী অফ দ্যা ওয়াল্ড প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্তি লক্ষে প্রাথমিকভাবে ১৩টি বিষয় সংযোজনের জন্য সুপারিশ করা হয়। বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যা শুধুমাত্র বাংলাদেশ এককভাবে এ ঐতিহ্যের দাবিদার। এই ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মেমোরি অফ দ্যা ওয়ার্ল্ডে অন্তর্ভূক্তির জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বাঙালি সমাজের নানা উপকরণ রয়েছে, তবে কি কি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা যায় এ বিষয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।