ঢাকা, ০৬ নভেম্বর ২০১৭। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিকেল ৩টায় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে "জেলহত্যা দিবস" উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব সিমিন হোসেন রিমি এম.পি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. অহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর জনাব মো. নজরুল ইসলাম খান।
স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব জনাব মো. শওকত নবী বলেন-ঐ কলঙ্কজনক দিনে আমরা হারিয়েছি এদেশের সূর্যসন্তানদের । জাতির পিতার অনুস্থিতিতে তাদের সুদৃঢ নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। যে কারাগারে পৃথিবীর সব মানুষ নিশ্চিত নিরাপত্তা পায় সেই কারাগারেই ঘাতকদল এই জাতীয় চারনেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমেদের সুযোগ্য কন্যা জনাব সিমিন হোসেন রিমি এম.পি বলেন- দেশপ্রেম শুধু দেশের জন্য নয়, আমাদের সকলকেই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সততার সাথে সুষ্ঠুভাবে কর্ম সম্পাদন করতে হবে । মানুষে মানুষে সংঘাত বন্ধ করতে হবে । এরপর তিনি ১৯৭৫ এর সেই অস্থিতিশীল সময়ের স্মৃতিচারণ করেন । তিনি বলেন অনেক পরে হলেও স্বাধীনতাবিরোধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হয়েছে । একসময় সকল খুনিদের বিচার আমরা পাব এ জন্যে দরকার সামাজিক সচেতনতা ।
সভাপতির ভাষণে জনাব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ নেতা হতে পেরেছেন কারণ এই চার নেতার মত বিশ্বস্ত অনুসারী তাঁর ছিল । তিনি আরও বলেন, কিছু ক্ষমতা লোভী মানুষের কারণে দেশে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয় ১৯৭৫ সালে । তাজউদ্দীন আহমেদের বিচক্ষণতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন তাজউদ্দীন আহমেদ ১৯৭১ সালে ভারতের সমর্থন আদায় করতে না পারলে হয়ত আমাদের স্বাধীনতা আরো বিলম্বিত হত ।
আলোচকের ভাষণে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. অহিদুজ্জামান বলেন, সভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটে ঐ রাতে । এই চারনেতা শুধু নেতাই ছিলেন না মানুষ হিসেবেও ছিলেন অসাধারণ । আগামী প্রজন্মের কাছে তাদের অবদান তুলে ধরতে হবে ।