ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিকেল ৩টায় কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলা কথাসাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক জনাব আলিম আজিজ ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক জনাব আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন । অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন জনপ্রিয় টেলিভিশন সঞ্চালক জনাব খালেদ মুহিউদ্দিন।
কথা সাহিত্যিক জনাব আলিম আজিজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। সাহিত্য উপাদান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ অনুপ্রেরণার উৎস। এদেশের অধিকাংশ সাহিত্যিক সাহিত্য উপাদান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে বেছে নিয়েছেন।
কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুধু সাহিত্য উপাদান নয়। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নির্মাণে সাহিত্য উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।তিনি আরো বলেন, কথা সাহিত্যে এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস খুবই সুন্দর করে ধারণ করা হয়েছে। তিনি গেরিলা থেকে সম্মুখ সমরে, একাত্তরের দিনগুলো বইগুলোর কথা করে বলেন, এই বইগুলোতে যুদ্ধকালীন ভয়াবহতা নিখুঁত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপর চলচ্চিত্র নির্মাণের গুরুত্ব আরোপ করেন। সবশেষে তাঁর লেখা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক 'মা' উপন্যাসের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।
প্রধান অতিথির ভাষণে বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনীতির যেমন ভূমিকা রয়েছে সেই হিসেবেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কথা সাহিত্যিকদের রচনায় এর প্রভাব লক্ষ্য করে যায়। প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির সাফল্যের ফসল। লেখকরা তাঁর ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন তাঁদের লেখায়।
সভাপতির ভাষণে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, সাহিত্যিকদের বড় উপজীব্য তাদের রচনা। মুক্তিযুদ্ধ যেকোনো বাঙালি সাহিত্যিকদের জন্য গৌরবের বিষয়। আমরা এই গৌরবকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি আমাদের লেখায়।