ঢাকা, ২২ জানুয়ারি ২০১৮। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সন্ধ্যা ৬টা জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশিষ্ট লোকসংগীত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়-এর একক সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি শিল্পী হাশেম খান এবং শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়-এর জীবনী সংক্ষেপে পরিবেশন করেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কীপার ড. শিহাব শাহরিয়ার ।
রথীন্দ্রনাথ রায় ১৯৪৯ সালে নীলফামারী জেলার সূবর্ণখুলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অন্যতম লোকসঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার হরলাল রায়। তিনি ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন এবং বাবার কাছেই সঙ্গীতের প্রাথমিক তালিম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ওস্তাদ পি. সি গমেজের কাছে সঙ্গীতে তালিম নেন। আট বছর বয়সে তিনি বেতারে ও তের বছর বয়সে টেলিভিশনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। রথীন্দ্রনাথ রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি দুবার ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে ফিল্ম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন পুরস্কারে ভূষিত হন এবং ১৯৯৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন। বর্তমানে তিনি কানাডা প্রবাসী।
বর্তমানে রথীন্দ্রনাথ রায় বাংলাদেশের লোকসঙ্গীতের একজন প্রখ্যাত শিল্পী। তিনি মূলত বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে প্রচলিত লোকসঙ্গীত ভাওয়াইয়া গানের একজন শিল্পী। তিনি অনেক দেশাত্মবোধক গান গেয়ে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। তিনি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতারের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করে অনন্য ভূমিকা পালন করেন এবং কণ্ঠযুদ্ধশিল্পী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
এরপর শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় দেশাত্ববোধক গানের মাধ্যমে তাঁর সংগীত পরিবেশনা শুরু করেন এবং তাঁর বিখ্যাত লোকসংগীত পরিবেশনা শ্রোতামণ্ডলীকে মোহিত করে রাখে।