ঢাকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকাস্থ কানাডীয় হাই কমিশন, Canadian Community of Arts Initiative' - এবং ARTcon এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত মিলনায়তনে ০৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত কানাডীয় বহুমাত্রিক শিল্পী চার্লস প্যাকটার-এর একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত প্রদর্শনীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিল্পমনা জনাব আবুল খায়ের। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ কানাডীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি জনাব ব্যারি ব্রিস্টম্যান এবং Canadian Community of Arts Initiative-এর কিউরেটর জনাব আসমা মাহমুদ এবং শিল্পী চার্লস প্যাকটার স্বয়ং এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নেহেরিন মোস্তফা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধূরী বলেন, চার্লস প্যাকটার একজন কানাডীয় সমকালীন শিল্পী যিনি তার শিল্পকর্মের মাধ্যমে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনাম অর্জন করেছেন । তার রানি, মুজ এবং ম্যাপল লীফ নিয়ে তৈরি ফ্ল্যাগ কানাডার সমকালীন শিল্পের নিদর্শন হয়ে রয়েছে। তাঁর মতো বহুমাত্রিক শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পেরে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর অত্যন্ত আনন্দিত ।
অনুষ্ঠানে Canadian Community of Arts Initiative-এর কিউরেটর জনাব আসমা মাহমুদ বলেন, প্রদর্শনীটি সাজানো হয়েছে গল্প বলার মতো করে । প্রদর্শনীটি দেখলে মনে হবে ছবি দিয়ে একটি গল্প বলা হচ্ছে । তিনি আরো বলেন এই শিল্পী তাঁর কাজের মাধ্যমে কানাডার মানুষের মনে বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছেন। এই শিল্পী তাঁর কাজের মাধ্যমে অনেক কঠিন বিষয় ও খুব সাধারণভাবে তুলে ধরেছেন তাঁর চিত্রকর্মে।
অনুষ্ঠানে জনাব কালীদাস কর্মকার বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর দিন দিন আন্তর্জাতিক মানের একটি জাদুঘরে পরিণত হচ্ছে । এদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী না হলেও এ দেশ সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী।
অনুষ্ঠানে শিল্পী চার্লস প্যাকটার বলেন, বাংলাদেশ খুবই সুন্দর একটি দেশ। এই দেশের মানুষের মন খুব বড়। তিনি খুবই গর্বিত বোধ করছেন এদেশে একক প্রদর্শনীর সুযোগ পেয়ে। তিনি বলেন এ দেশের মানুষের শিল্পীমনের পরিচয় পেয়ে তিনি অভিভূত। কানাডায় যেসকল বাংলাদেশী মানুষের সাথে তাঁর পরিচয়ের সুযোগ হয়েছে তাদের অনুপ্রেরণাই তাঁকে এই প্রদর্শনী আয়োজনে উৎসাহিত করেছে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রতিটি মুহূর্তে এই প্রদর্শনীর কাজে সহায়তা করেছে বলে তিনি জাদুঘরের মহাপরিচালক ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
কানাডীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি জনাব ব্যারি ব্রিস্টম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও কানাডার সুসম্পর্কের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই প্রদর্শনী। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। তিনি বলেন, চার্লস প্যাকটার কানাডার বিখ্যাত একজন শিল্পী। তিনি মুজ নিয়ে শিল্পকে একটি বিশেষ স্থানে নিয়ে গেছেন। কানাডার সমকালীন শিল্পের এই পথিকৃৎ এদেশের মানুষের মনও জয় করে নিবেন বলেও তিনি জানান।
প্রধান অতিথির ভাষণে জনাব আবুল খায়ের বলেন, চার্লস প্যাকটার যে একজন বহুমাত্রিক শিল্পী এবং অনেক বড়মাপের শিল্পী তার প্রমাণ পাওয়া যায় যখন তার ছবি কানাডার পোর্ট্রেট গ্যালারি, ওয়াশিংটন কানাডিয়ান দূতাবাস, লন্ডনে কানাডা হাউস, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং ওটাওয়াতে ফ্রান্স দূতাবাসে প্রদর্শিত হচ্ছে। "লস্টিস্ট লেগ্যাসি অ্যান্ড দ্য ক্রিয়েশন অব আধুনিক ইংলিশ কানাডা" তাঁর একক প্রদর্শনী লন্ডনে, অগাস্ট-সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। কানাডা জুড়ে প্যাটারের ইস্পাত এবং গ্রানাইট মূসক ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে।