ঢাকা, ২৩ মার্চ ২০১৮। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী পিনু সাত্তার-এর একক সংগীত সন্ধ্যা আয়োজন করা হয়। শিল্পী পিনু সাত্তার জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করে উপস্থিত শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
ছোটবেলা থেকে গ্রামের বাউল-বোষ্টমদের গান শুনে বেড়ে ওঠা পিনু’র জন্ম লালন শাহ এর দেশ কুষ্টিয়া। সেখানকারই শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সংগীত শিক্ষার সঙ্গে পিুনর পরিচয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পিনু যোগ দেন ছায়ানটে।
বিলেত যাত্রার আগ পর্যন্ত পিনু ছায়ানটের সাথে মিশেছিলেন ওতপ্রোতভাবে। প্রবাসেও পিনু’র গান থেমে থাকেনি কখনোই। দেশে থাকাকালীন যেমন পিনু গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেছেন বিভিন্ন জেলার শ্রোতাকে, তেমনি কোলকাতা, শান্তিনিকেতন, আগরতলার মতো বিভিন্ন জায়গাতেও শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিলেতের লন্ডন শহর ছাড়াও পিনু আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে প্রশংসা লাভ করেছেন অক্সফোর্ড, লীডস, এবং নটিংহ্যমেও। ইংল্যান্ড ছাড়াও পিনু’র গান শুনে মুগ্ধ হয়েছে জার্মানির কোলন, অ্যামেরিকার নিউইয়র্ক ও অ্যারিজোনার বাঙালিরা। বর্তমানে সাস্কাচুয়ান এর রিজাইনা শহরে সপরিবারে বসবাস করছেন পিনু। এরই মধ্যে তিনি ভাস্কুভারে টেগোর সোসাইটির আমন্ত্রণে একক সঙ্গীতসন্ধ্যায় মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন অগণিত শ্রোতাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে, টরন্টো, মন্ট্রিয়াল ও সাস্কাটুনেও হয়ে গেছে তাঁর আরও কিছু সঙ্গীতানুষ্ঠান।
রবীন্দ্রনাথের গানেই পিনু’র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হলেও, বাংলা সঙ্গীতের বাকি চার কবির গানেও পিনু’র সমান পদচারণা। শুধু পঞ্চ কবির গানেই পিনু থেমে যাননি, তাঁর কেবল গাইতে চাওয়া’ মন সমান আবেগ ও দক্ষতায় ধারণ করেছে কীর্তনসহ বাংলা লোকগীতির বিভিন্ন ধারা এবং স্বর্ণযুগের বাংলা গানকেও। সমকালীন বাংলা গানের প্রতিও তাঁর রয়েছে সমান আগ্রহ।