ঢাকা, ৭ মে ২০১৮। আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ (ICOM) সমাজে জাদুঘরের ভূমিকা এবং জাদুঘরের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একুশ শতকে জাদুঘরের সংজ্ঞা বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায় আইকম (ICOM) বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি এক কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জাতিতত্ত্ব ও অলংকরণ শিল্পকলা বিভাগের কীপার জনাব নূরে নাসরীন। Definition of Museum শীর্ষক মূল প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন আইকম (ICOM) বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপার্সন জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন জাদুঘরের উপ-কীপার জনাব মো. সেরাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, একুশ শতকে জাদুঘরকে জনসাধারণের কাছে নিয়ে যেতে হলে জাদুঘরের সংজ্ঞায় জনগণের ভাবনার প্রতিফলন থাকতে হবে। সমাজ ভাবনার পরিবর্তনের সঙ্গে জাদুঘর ভাবনাকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। তবেই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাদুঘর উপযুক্ততা অর্জন করবে।
সভাপতির ভাষণে জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র নিদর্শন সংগ্রহ কিংবা প্রদর্শনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। আধুনিক প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে জাদুঘর কর্মীদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং দর্শককে জাদুঘরের সাথে সম্পৃত্ত করতে হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রাক্তন কীপার, ড. মো. আলমগীর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-কীপার ড. আতাউর রহমান এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যারয়ের প্রক্টর সরদার জুলকার নাইন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, টাকা জাদুঘর, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে আইকম কমিটিতে প্রেরণের জন্য একটি সুপারিশমালা প্রস্তুত করা হয়।