ঢাকা, ০৬ নভেম্বর ২০১৫। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও সিটি ব্যাংক লিমিটেড যৌথভাবে ০৬ নভেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যায় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সংগীত রত্ন ত্রৈলী দত্তের একক সরোদ সন্ধ্যার আয়োজন করে। সরোদ সন্ধ্যায় সংস্কৃতি অংগনের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, এই উপমহাদেশে সমসাময়িককালে সঙ্গীত সাধনায় আত্ম নিয়োগ করে নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন যে কজন শিল্পী ত্রৈলী দত্ত তাদের মধ্যে অন্যতম, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ উদীয়মান এই প্রতিভার সাথে পরিচিত হতে পারবে। সিটি ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ফারুক মঈনউদ্দিন আহমেদ বলেন ত্রৈলী দত্তকে অনুসরণ করে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক কিছু শিখতে পারবে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি জনাব এম. আজিজুর রহমান।
ত্রৈলী দত্ত উপমহাদেশের সমকালীন জনপ্রিয় একজন প্রতিশ্রুতিশীল সরোদ বাদক। সংগীতাচার্য শ্যাম গংঙ্গোপাধ্যায় এবং ওসত্মাদ আলী আকবর খানের সুযোগ্য শিষ্য পণ্ডিত কমল মল্লিকের কাছে ত্রৈলী দত্তের সরোদ বাদনে হাতেখড়ি। বর্তমানে ত্রৈলী বিখ্যাত পন্ডিত সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়ের কাছে সংগীত নির্মাণের আধুনিক পদ্ধতির উপর তালিম নিচ্ছেন। ২০০৯ সালে ভারতের শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অব কালচার এবং ডোভারলেন মিউজিক কনফারেন্স ও ডোভারলেন মিউজিক একাডেমি আয়োজিত উভয় সংগীত প্রতিযোগিতায় ত্রৈলী প্রথম স্থান অধিকার করেন। লেখাপড়াতেও কৃতিছাত্রী হিসেবে ত্রৈলী প্রশংসা কুড়িয়েছে অনেক। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতে মাস্টার্স ডিগ্রি পরীক্ষায় ত্রৈলী প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। সংগীত প্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার তাঁকে বিশেষ বৃত্তি প্রদান করে সম্মানিত করে। বর্তমানে ত্রৈলী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীতের উপর পি.এইচ.ডি. করছেন। সম্প্রতি বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ ত্রৈলী-কে ‘সঙ্গীতরত্ন’ উপাধিতে ভুষিত করেছে। ত্রৈলী এযাবৎ অনেক সঙ্গীত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ডোভারলেন মিউজিক কনফারেন্স, কোলকাতা; বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি; ছায়ানট; ব্রহ্মপুর সুরমূর্ছনা; সোহিনী; মা নিষাদ; ঝুলনবাটি সঙ্গীত সম্মেলন, ন্যশনাল লাইব্রেরী, কোলকাতা; নিজাম প্যালেস; লাবণ্য সঙ্গীতালয়; বিবেকানন্দ স্টাডি সেন্টার, কোলকাতা; তারা মিউজিকের জলসাঘর ও আজ সকালের আমন্ত্রণে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।