ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫। জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কবি সৈয়দ শামসুল হকের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাুদঘরের সহযোগিতায় জাদুঘর প্রাঙ্গণে জন্ম-উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। তিনি বলেন, সৈয়দ শামসুল হক আজ আপনি রবীন্দ্রনাথের সম-বয়সী হলেন। আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিবাদন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত বলেন আজ আমাদের বাংলা সাহিত্যের একটি স্বর্ণালী দিন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা পত্র পাঠ করেন কবিতা পরিষদের সাবেক সভাপতি কবি রবিউল হুসাইন।
এরপর কবি সৈয়দ হককে সম্মাননা পত্র, সম্মাননা ক্রেস্ট, এবং ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়। জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কবিতা পরিষদের সাবেক সভাপতি কবি রফিক আজাদ বলেন, আজ বাংলা সাহিত্যের একটি আনন্দঘন দিন। আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি, যার কবিতা আমাকে ভিষন টানে। সৈয়দ হক কুড়িগ্রামের মনভূমি জলেস্বরীকে বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলা ভাষার নতুন ভাষা নির্মাণ করে সব শাখাকে উন্নত করেন। কবি বেলার চৌধুরী শুভেচ্ছা জানান সৈয়দ হককে। কবিতা পরিষদের সাবেক সভাপতি কবি হাবীবুলস্নাহ সিরাজী বলেন, তিনি বাংলা সাহিত্যের শৈত্যপ্রবাহকে উষ্ণতা দিয়েছেন। এই কবিকে সারা বিশ্বে মর্যাদা দেয়া উচিৎ। সভাপতির ভাষণে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে কবিরা যখন একত্রিত হয়ে জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠিত হয়। তখন সৈয়দ হক আমাদের পথিকৃত হিসেবে আভির্ভূত হন। আজ এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করতে পেরে আমি ধন্য। কবি-সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক তাঁর ৮০তম জন্মদিনে ‘দৃষ্টিভূমিতে দীর্ঘছায়া’ স্মারক লেখায় বলেন, ‘কবিতার ধ্বনিসংগীতে, নাটকের আলো আঁধার মঞ্চে, গল্পের অবিরাম বয়নে, এই দেশ ও মানুষের কথা বলে যাবো- আর সোনার বাংলা স্বপ্নের বাংলা সংগ্রামী বৃহৎ বাংলার কথা বিতানে কথা আমি বলে গেলেও বিশ্বের সকল মানুষেরই কথন ও রচন তা হয়ে থাকবে, এই আমার সাধনা।