ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০১৬। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ১৫ মার্চ ২০১৬ বিকাল ৩:০০টায় কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে একাত্তুরের যুদ্ধ শিশু : অবিদিত ইতিহাস শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক জনাব মুস্তফা চৌধুরী। ‘যুদ্ধশিশু’ সম্পর্কিত গল্পগ্রন্থ নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেন কম্পোট্রলার এন্ড অডিটর জেনারেল এবং কথাসাহিত্যিক জনাব মাসুদ আহমেদ। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর সলিমুল্লাহ খান ও প্রফেসর মেজবাহ কামাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি জনাব এম. আজিজুর রহমান। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, ‘একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধরা জীবন বাজী রেখে রণাঙ্গনে যু্দ্ধ করেন। এদেশের পাশাপাশি বীরাঙ্গনাদের আত্নত্যাগ স্মরণীয় হয়ে আছে। স্বাধীনতার পর যুদ্ধ শিশুরা বিদেশী দত্তকদের মাধ্যমে বিদেশে চলে যায়। আজ পঠিত প্রবন্ধে এই সব যুদ্ধ শিশুদের জীবন গাঁথা নিয়ে আলোচিত হয়েছে। আজকের তরুণ প্রজন্ম ও গবেষকেরা যুদ্ধ শিশু’দের সম্পর্কে এ আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পারবে। গবেষক মুসত্মফা চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর ২২টি সেবা সংস্থায় যুদ্ধ শিশুরা জন্ম গ্রহণ করে। বিদেশীরা তাদেরকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেন। দত্তক গ্রহীতারা তাদের সমত্মান থাকা সত্ত্বেও তারা বাঙালি শিশুদের দত্তক নেয়। যুদ্ধে অনাথ শিশুদেরকে কানাডীয়ানরা প্রথমে দত্তক নেয়। যুদ্ধ শিশুরা ডেনমার্ক, সুইডেনসহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। দেশে যুদ্ধ শিশুদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা উচিত। যুদ্ধ শিশুরা বহু প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছে। তাদের অনেকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ‘যুদ্ধ শিশু : অবিদিত ইতিহাস’ প্রবন্ধ রচনা করা হয়েছে। যুদ্ধ শিশুদের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়টি আজ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।