ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬। ১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের প্রয়াত মাস্টার পেইন্টার শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৩২টি, পটুয়া কামরুল হাসানের ৩২টি, শিল্পী এস.এম. সুলতানের ১১টি এবং শিল্পী শফিউদ্দিনের ১৪টি সহ মোট ৮৯টি শিল্পকর্ম নিয়ে পক্ষকালব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। আন্তর্জাতিক ও ধ্রুপদী মানসম্পন্ন এই শিল্পকর্মগুলি প্রদর্শনীর জন্য উদ্বোধন করা হয়।
৫ ডিসেম্বর ২০১৬ সোমবার, বিকাল ৩.০০টায় জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে দেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর প্রদর্শনীর উদ্বোধন বলেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কয়টি বিষয়ে বাংলাদেশ উৎকর্ষ সাধন করেছে তার মধ্যে এই চিত্রকর্ম অন্যতম। এর জন্য যে ক’জন গুণি মানুষের অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, শিল্পী এস.এম. সুলতান, শিল্পী শফিউদ্দিন অন্যতম। অনুষ্ঠানের অতিথি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী শাহাবু্দ্দিন আহমেদ বলেন- বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জিত হয়েছে সেগুলো শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, শিল্পী এস.এম. সুলতান, শিল্পী শফিউদ্দিন এর মত প্রতিথযশা শিল্পীদের সৃষ্টিশীল অবদানের জন্য। বাঙালি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে আমি গর্ভবোধ করি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, শিল্পকর্ম সংগ্রহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন জাতীয় জাদুঘরে ধারাবাহিক কাজ হলে চারজন প্রয়াত মাস্টার পেইন্টারের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ও একসাথে দেখতে পারার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বহুমাত্রিক নিদর্শন সংগ্রহ ও প্রদর্শনের একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ঐতিহাসিক, জাতিতাত্ত্বিক, প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের নিদর্শন সংগ্রহের পাশাপাশি সমকালীন শিল্পকলা ও বিশ্বসভ্যতার নিদর্শনাদি এ প্রতিষ্ঠান নিয়মিত সংগ্রহ করে চলছে। এ সংগ্রহ তালিকায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, শিল্পী এস.এম. সুলতান, শিল্পী শফিউদ্দিনসহ প্রয়াত ও সমসাময়িক প্রথিতযশা শিল্পীদের শিল্পকর্ম রয়েছে। এ প্রদর্শনী ৫ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত শনিবার সকাল ১০টা থেকে বুধবার বিকেল ৪.৩০ মিনিট এবং শুক্রবার বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি।