জাপানী শিল্পী তাদাইচি সাকামোতোর শিল্পকর্ম ‘ইজুরাবানা’ হস্তান্তর অনুষ্ঠান।

ঢাকা, ১১ নভেম্বর ২০১৭। জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় আয়োজন করা হয় জাপানী চিত্রশিল্পী তাদাইচি সাকামোতোর আঁকা চিত্রকর্ম ‘ইজুরাবানা’ হস্থান্তর অনুষ্ঠান । বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাপান সফরের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জাপান সরকার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদাচি সাকামোতো ‘ইজুরাবানা’ চিত্রকর্মটি আঁকেন, শিল্পী নিজ হস্তে যেটি আজ জাদুঘরে হস্তান্তর করেন।

হস্থান্তর অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের যুগ্ন সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল এবং জাপানের এনপিও ইন্টারন্যাশনাল আর্টিস্ট সাতুইয়ানো-কাই এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক শিল্পী মাসাও সেকিয়া । সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব জনাব শওকত নবী।

অনুষ্ঠানের পটভূমি উল্লেখ করে অধ্যাপক শাহজাহান আহমেদ বিকাশ বলেন, জাপানে চিত্রকলার পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত ওকাকোরা কাকুজো। তিনি ভারত সফরে এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসায় ৯ মাস অবস্থান করেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জাপান সফরে আমন্ত্রন জানান। ওকাকোরা কাকুজোর আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাপান সফর করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাপান সফরের শতবর্ষ উপলক্ষে শিল্পী তাদাইচি সাকামোতো 'ইজুরাবানা' নামক চিত্রকর্মটি আঁকেন ।

বিশেষ অতিথি শিল্পী মাসাও সেকিয়া তার ভাষণে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অন্যতম সুন্দর দেশ। এখানে রয়েছে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী। শেষে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের প্রথম দুলাইন নিজ কন্ঠে গেয়ে শুনান।

মো. সাইফুল হাসান বাদল বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাষ্ট্রের মাঝে সম্পর্ক শক্তিশালী করে। তিনি আরো বলেন জাপানীদের দেশ প্রেম, একাত্বতা অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের দেশ আরো সামনে এগিয়ে যাতে পারে।

ইজুরাবানা'র শিল্পী তাদাইচি সাকামোতো বলেন, তাঁর ৭০ বছরের জীবনে ৫০ বছর তিনি শিল্পচর্চায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং জাপানের সম্পর্ক এই হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আরো দৃঢ় হবে।

এরপর শিল্পী তাদাইচি সাকামোতো, জাপান সফরের সময় ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের পাওয়া পুরষ্কার শিল্পীর হাতে তুলে দেন।

এরপর জাদুঘরের পক্ষ থেকে ‘ইজুরাবানা’ শিল্পকর্মটি গ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ।

প্রধান অতিথির ভাষণে ড. মসিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক স্বাধীনতার সময় থেকেই অনেক গভীর । জাপান বাংলাদেশের সব থেকে বড় সাহায্যকারী দেশ । বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক সময়ের সাথে আরো দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভাপতির ভাষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব জনাব শওকত নবী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু । তিনি শিল্পী তাদাইচি সাকামোতোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শিল্পকর্মটির মাধ্যমে এদেশের মানুষ জাপানী শিল্পীর শিল্পবোধ সম্পর্কে জানতে পারবে ।

Contact Us:

Phone (PABX): +88-02-58614842, +88-02-58614880, 58615012-3
Fax: +88-02-9667381
E-mail: This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it.
Web: www.bangladeshmuseum.gov.bd