ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং শুদ্ধ সংগীত ও প্রমিত বাংলা গান চর্চার সংগঠন রক্তকরবী যৌথভাবে সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, গদ্য ও কবিতার সমন্বয়ে ‘বেড়ে ওঠার অবলম্বন’ শীর্ষক বিশেষ সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট গবেষক ও সাহিত্যিক ড. গোলাম মুরশিদ। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শিক্ষা বিভাগের কীপার ড. শিহাব শাহরিয়ার । অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা করেন কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এবং সংগীত পরিচালনা করেন শিল্পী শীলা মোমেন ।
স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শিক্ষা বিভাগের কীপার ড. শিহাব শাহরিয়ার বলেন, আজ এই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এই ‘বেড়ে ওঠার অবলম্বন’ অনুষ্ঠান যৌথ আয়োজন করতে পেরে জাদুঘর ও রক্তকরবী আমরা আনন্দিত এবং তিনি আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু একজন কবি নন তিনি ছিলেন একাধারে প্রাবন্ধিক, গাল্পিক, উপন্যাসিক, সংগীতজ্ঞ, নাট্যকার ও জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে আঁকলেন বিশ্বমাপের চিত্রকলা ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বিশিষ্ট গবেষক ও সাহিত্যিক ড. গোলাম মুরশিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন একজন কবি যার তুলনা কারোর সাথে করা যায় না এবং তা আর কখনো করাও যাবে না । তার গান শুধু গান নয় এবং তার কবিতা শুধু কবিতা নয় তার গান কবিতা একজন মানুষকে উজ্জীবিত ও প্রাণবন্ত করে তোলে । তিনি যখন গান লিখতে শুরু করেন তখন তিনি বলতেন জানিনা আমার গান বা কবিতা মানুষ মনে রাখবে কিনা তবে মানুষ আমার ছোট গল্প মনে রাখবে । তিনি যখন তার কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস লিখা শুরু করেন তখন তিনি প্রায় দু’বছরের বেশি সময় বিলেতে থাকেন এবং তিনি সে সময় স্কটিস, আইরিশ ও অন্যান্য ফোক সংগীত শুনেন, যা ছিলো কথা প্রধান গান এবং তারপর তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন তখন তিনি এই কথা প্রধান গান লিখা শুরু করেন ।
পরে রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা পরিবেশন করা হয়। একই সাথে নাচ পরিবেশনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথকে তুলে ধরা হয় ।