ঢাকা, ২১ জানুয়ারি ২০১৮। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সন্ধ্যা ৬টায় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রেবেকা সুলতানা-এর একক সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে ।
রেবেকার সুলতানা পারিবারিক পরিবেশ ছিল সংস্কৃতি চর্চার অনুকূলে। বাবা শখ করে বেহালা বাজাতেন। গানে আগ্রহ ছিল তার। তার আত্মীয়দের মধ্যেও সংগীত রসিক অনেকেই ছিলেন। এই পরিবেশই তাকে এবং ভাই বোনদের উৎসাহিত করেছে। বড়বোন হিসেবে তিনি প্রথম গান শিখতে শুরু করেন। এভাবে অন্যেরাও ধীরে ধীরে গানের দিকে চলে আসেন।
নজরুলসংগীতের শিল্পী রেবেকা সুলতানা টিভিতে গান গেয়ে আসছেন বিটিভির প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই। ছোটদের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে টিভিতে তার পারফরমেন্সের সূচনা। ষাটের দশকের শেষের দিকেই বড়দের অনুষ্ঠানে গান গাইতে শুরু করেন।
সময়ের হিসেবে রেবেকা এদেশের নজরুল সংগীতের সিনিয়র শিল্পীদের একজন। কূটনৈতিক স্বামীর চাকরি সূত্রে নেপাল, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আবুধাবী, সুইডেন, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, বিভিন্ন দেশে থেকেছেন রেবেকা। যেখানেই গেছেন, হারমনিয়ামটা সঙ্গে ছিল। রেওয়াজ ছাড়েননি। বন্ধ থাকেনি গান গাওয়া। প্রবাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। কখনও কখনও রেডিও-টিভিতে অনুষ্ঠান করেছেন।
প্রবাসে দূতাবাস ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এবং পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রেবেকা এই সব জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন ও গান পরিবেশন করতেন। নেপালে অবস্থানকালে একটি নেপালী ফোক গান রেডিওতে গেয়েছিলেন। নেপালের শ্রোতারা গানটাকে পছন্দ করেছিলো। নেপালী রেডিওতে বেশ কয়েকবার এ গান প্রচারিত হয়। একটি নেপালী গান গেয়ে নেপালের শ্রোতাদের হৃদয়কে নাড়া দিতে পারা একজন বিদেশী শিল্পীর জন্য একটি আবেগপ্রবণ স্মৃতি।
‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলব না’- স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রচার মাধ্যমের জনপ্রিয় এই গানটির শিল্পী রেবেকা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে শিল্পী রেবেকা সুলতানা বিভিন্ন রকমের গান পরিবেশন করেন তার মধ্যে ছিলো মুক্তির মন্দির সোপান তলে কত প্রাণ হলো বলিদান, যবে তুলশি তলায় প্রিয় সন্ধ্যা বেলায়, তুমি ডেকে লও সেই দেশে ও দুয়ারে আইসাছে পালকি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রোতামণ্ডলী শিল্পীর পরিবেশনা বিমোহিত হয়ে উপভোগ করেন ।