ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সভা কক্ষে কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের নিদর্শন হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক শরিফ নাফি আস-সাবের তার কাছে সংরক্ষিত সাহিত্যিক শওকত ওসমান-এর নিজ হাতে অঙ্কিত চিত্র, ছড়া ও চিঠি সম্বলিত তিনটি পোস্ট কার্ড জাদুঘরে হস্তান্তর করেন। জাদুঘরের পক্ষে নিদর্শনসমূহ গ্রহণ করেন শওকত ওসমানের পুত্র মাননীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব ইয়াফেস ওসমান। অনুষ্ঠানে সাহিত্যিকের অন্য পুত্র জনাব জানেসার ওসমানও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, শওকত ওসমান ছিলেন বাঙালির বাতিঘর। মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে তিনি লালন করেছিলেন। তিনি সমাজকে আলোকিত করেছেন। যা আছে তার বাইরে দেখার ক্ষমতা ছিল তার অসীম। তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অনেকের থেকে আলাদা। অধ্যাপক শরিফ নাফি আস-সাবের তার কাছে রক্ষিত তিনটি স্মৃতিস্মারক আনুষ্ঠানিকভাবে জাদুঘরে হন্তান্তর করেন। তার উপহৃত স্মৃতিস্মারক জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করবে।
অধ্যাপক শরিফ নাফি আস- সাবের বলেন, শওকত ওসমান প্রথম চিন্তা করতেন হৃদয় দিয়ে। রবীন্দ্র বলয়ের বাইরে থেকে যারা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন শওকত ওসমান। সাহিত্যিক মোতাহার হোসেন চৌধুরীকে প্রেরিত তাঁর স্কেচ ও লিখিত পোস্ট কার্ডে তাঁর সমাজ সচেতন চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাবা প্রায়ই বলতেন আমি ছাত্র ধনে ধনী। সে সময় যোগাযোগ এত সহজ ছিল না। পোস্ট কার্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করা ছিল সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু সেই সাধারণ ব্যাপারটিও একটি মানুষ অসাধারণ করতে পারেন তা এই পোস্ট কার্ডগুলো দেখলে বুঝা যায়। তিনি আরো বলেন, বাবা নিজ পরিবারের মধ্যে তাঁর ভালোবাসা সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিঁনি তাঁর সকল ছাত্রদের নিজ সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন। শওকত ওসমান লিখতেন তার হৃদয় ও আত্মা দিয়ে। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এই হৃদয়বান লেখকের লেখা সংরক্ষণ করা উচিত।