মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে মুম রহমান বলেন, তাঁর লেখনীতে নিম্নবর্গের মানুষের জীবন ও সমাজকে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর বিখ্যাত চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম চরিত্র হিমু, মিসির আলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সহজ-সরল কাহিনীর চিত্রায়ন, বর্ণনায় বাহুল্য বর্জন এবং বিষয় নির্বাচনে ভিন্নতায় একজন হুমায়ূন আহমেদ বাংলাসাহিত্যে নিজের অবস্থানকে স্বতন্ত্র দৃঢ়তায় স্থাপিত করেছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই লেখক আমাদের মাঝে না থাকলেও রেখে গেছেন তাঁর বিশাল সৃষ্টিভাণ্ডার। হূমায়ূন আহমেদের গদ্যের সরলভঙ্গি পাঠককে মুগ্ধ করে। পাঠকের সঙ্গে সহজবোধ্য ভাষায় তিনি যোগাযোগ গড়ে তোলেন।
আলোচনায় মেহের আফরোজ শাওন বলেন, হিমু চরিত্রটা মূলত তাঁর বাবাকে উদ্দেশ্য করে তৈরি করা। এই চরিত্রের মধ্যদিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। জনাব মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, হিমু একটি অন্যতম চরিত্র। যার মাধ্যমে তিনি সমাজের অনেক অসংগতি ও জীবনের নানা চিত্র তুলে ধরেছেন।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জনাব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, হূমায়ূন তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে তরুণ সমাজের বাংলা ভাষায় বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করেছেন।
জনাব রামেন্দু মজুমদার হূমায়ূন আহমেদ এর বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সভাপতির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, তাঁর সৃষ্ট সাহিত্যকর্মের জন্যই তিনি জননন্দিত কথাসাহিত্যিক। তাঁর লেখার মাধ্যমেই তিনি আমাদের মাঝে চির অমর হয়ে থাকবেন। তাঁর চিন্তা-চেতনা, বুদ্ধিমত্তা সব কিছু তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে রেখে গেছেন।