ঢাকা, ০২ এপ্রিল ২০১৬। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে ২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ডা. বিকাশ চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি জনাব এম. আজিজুর রহমান। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিক বিকাশ জনিত সমস্যা অটিজম। এই সমস্যাগুলি প্রকৃতির বিরূপ অবদান। আমরা কখনো তাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবো না। সমাজকে তাদের জন্য জায়গা করে দিতে হবে। যারা অটিজমে ভূগছে তাদেরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শনে বিশেষ সহায়তা করা হয়।
অটিজম আক্রান্তদের নিয়ে জাদুঘরে বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ অতিথি ডা. বিকাশ চন্দ্র পাল বলেন, জতিসংঘ ২০০৭ সাল থেকে বিশ্ব অটিজম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবম অটিজম দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করবো। অটিজম শিশুদের প্রধান সমস্যা স্নায়ুবিক। অটিজম শিশুরা আচরণগত সমস্যায় ভোগে। তাদের মধ্যে পূনরাবৃত্তিক আচরণ অধিক লক্ষণীয়। ১৯৪৩ সালে অটিজম জনিত সমস্যা আবিস্কৃত হয়। বিলম্বে কথা বলা, উচ্চারণগত জড়তা ও অস্পষ্টতা, স্বাভাবিক কথা বলতে না পারা, বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা অটিজম আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। অটিজম নিরাময় করা না গেলেও পরিচর্যার মাধ্যমে তাদের আচরণগত উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। বাংলাদশে জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি জনাব এম. আজিজুর রহমান বলেন, অটিজম শিশুরা প্রতিবন্ধী নয়, এরা মেধাবী। অটিজম শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। অটিজম শিশুরা মানবিক হয়। সমাজের সকল পর্যায় থেকে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।